দিনে ৫০০ টাকা ইনকামের সেরা ১০ টি Apps

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস ২০২৫

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন কোন বিনিয়োগ ছাড়াই শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাহলে এই কনটেন্ট টি আপনার জন্য। কিভাবে আপনি ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপস দিয়ে প্রতিদিন 400 থেকে 500 টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেই সহজ পদ্ধতি গুলো আজ বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুব উপকারী হবে এবং আপনি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

বর্তমানে  বেশির ভাগ মানুষ ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে আছে।আজকাল সবার হাতেই স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় চাইলেই আমরা সবাই এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারি।2025 সালে এমন অনেক আপডেট অ্যাপস রয়েছে যেগুলা থেকে  দিনে 400 থেকে 500 টাকা ইনকাম করা খুব সহজ।তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে এই অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

সূচিপত্র: দিনে 500 টাকা ইনকাম অ্যাপস 2025

1: Fiverr App

দিনে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য ফাইবার অ্যাপস মূলত একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় অংশ। এখানে বেশ কয়েকটি কাজের ধরন রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন আর্টিকেল লেখা ডাটা এন্ট্রি করা প্রোগ্রামিং ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি যদি লোগো ডিজাইনে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বড় প্রজেক্ট যেমন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের সেরা ১০ টি বাংলা নাটক

এইজন্য আপনাকে প্রথমেই ফাইবারে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং যারা ফাইবারে কাজ করিয়ে নেই সেই ধরনের ক্লাইন্টগুলোর সাথে আপনার যোগাযোগ করতে হবে। এক পর্যায়ে ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে কোন কাজ দিবে তারপরে সে কাজের অর্ডারটি সম্পূর্ণ করে কাজটি ক্লাইন্টকে বুঝিয়ে দিলে সেই ক্লাইন্ট আপনাকে পেমেন্ট দিবে।

তবে ফাইবারে কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষ হতে হবে। এইজন্য প্রয়োজনীয় কোর্স করে হোক সেটা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ আপনার প্রোফাইলটি এমন ভাবে আকর্ষণীয় পরিবর্তে হবে যাতে ক্লায়েন্ট সহজেই আপনার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং আপনাকে কাজ দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। সময় মত তাদের দেওয়া কাজ তাদের বুঝিয়ে দিলে আপনি পরবর্তীতে আবার সেই ক্লায়েন্ট থেকে আরো কাজের অর্ডার পেয়ে ইনকাম করতে পারেন।

তবে ফাইবারের দক্ষ হলেই হবে না ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পেশাদার মনোভাব এবং সময়ের প্রতি সময়ানুবর্তি হতে হবে তাহলে আপনি এই জগতে সত্যিকারের সফলতার পথে যেতে পারবেন। 

2:Youtube App

বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে youtube অ্যাপ। এই প্লাটফর্মে একটি চ্যানেল খুলে আপনি আপনার পছন্দ মতো যে কোন ধরনের ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটি অবশ্যই মনিটাইজেশন এর আন্ডারে হতে হবে,আর মনিটাইজেশন হওয়ার জন্য কিছু পূর্ব শর্ত রয়েছে যেমন-

  • ওয়াচ টাইম মিনিমাম 4000 ঘন্টা হতে হবে মানে দর্শকদের অবশ্যই আপনার ভিডিওগুলোকে মোট 4000 বার দেখে নিশ্চিত করতে হবে। আপনার চ্যানেলে ন্যূনতম এক হাজার জনের সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
  • এছাড়াও আপনার youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা এবং ভিউজের সংখ্যা বেশি হলে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির পণ্য বা সেবা এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে সেসব পণ্যের লিংক আপনার ভিডিওতে যুক্ত করে সে কোম্পানি থেকেও কমিশন পেয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
  • আবার আপনার নিজের পণ্য থাকলে সেগুলো আপনার চ্যানেলে ভিডিওর মাধ্যমে সবাইকে দেখিয়ে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। এই সবকিছু তখনই সম্ভব হবে যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কেননা যত বেশি ভিউ হবে আপনার ইনকাম ঠিক তত বেশি হবে।

3:Alamy App 

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে Alamy app। এই অ্যাপটি মূলত যারা ফটোগ্রাফার রয়েছে তাদের জন্য একটি জনপ্রিয় ইমেজ স্টক প্লাটফর্ম। এখানে ফটোগ্রাফাররা তাদের তোলা ছবি বিক্রি করে দিনে ৫০০ টাকা বা তার অধিক টাকা আয় করে থাকেন। আপনিও যদি এভাবে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ,

  • Alamy তে অবশ্যই ভালো রেজিলিউশন,লাইটিং এবং  ভালো গুণগত মানের ছবি আপলোড করতে হবে।
  • এই প্লাটফর্মে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ছবি যেমন প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিভিন্ন প্রযুক্তির বিষয়বস্তু,জনপ্রিয় ব্যক্তিদের লাইফ স্টাইল ইত্যাদি।ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনি সেসব ছবি আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন
  • এই সাইট থেকে পেমেন্ট নেওয়া অনেক সহজ।ক্লাইন্ট Payoneer এর মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে থাকে।

সুতরাং আপনি যদি ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন বা ফটোগ্রাফির প্রতি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি Alamy Apps এ একটি স্টক ইমেজ প্ল্যাটফর্ম ক্রিয়েট করে সেখানে আপনার ছবিগুলো আপলোড করে খুবই লাভজনক আয় নিশ্চিত করতে পারেন।

4: Facebook App

বর্তমানে ফেইসবুক হচ্ছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বহুল একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি দিনে ন্যূনতম 500 টাকা ভাইয়ের বেশিও ইনকাম করতে পারেন এজন্য অবশ্যই,,,
 
  • প্রথমে ফেসবুকে একটি পেজ খুলতে হবে এবং সেখানে আপনার দৈনন্দিন মানসম্মত ভিডিও,বিভিন্ন ধরনের ছবি বা আপনার পোস্ট নিয়মিত আপলোড করতে হবে। সেগুলো থেকে যখন আপনার কাঙ্ক্ষিত ভিউ আসা শুরু করবে এবং ফেসবুক মনিটাইজেশন চালু করবে তারপর সেখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই  আপনার ভিউয়ের উপর আপনার আয় নির্ভর করবে।
  • বর্তমানে ফেসবুক অ্যাপসে অডিয়েন্সের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি আর এই সংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির বা ওয়েবসাইটের পণ্য বা সেবার অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলো শেয়ার করে ইনকাম করতে পারেন ।আপনার এই শেয়ার কৃত লিংক এর মধ্যে ঢুকে কেউ যদি সেই কোম্পানির পণ্য ক্রয় করে তাহলে সে কোম্পানি থেকে আপনাকে একটা কমিশন দিবে।
  • এছাড়াও আপনার নিজস্ব কোন পণ্য থাকলে বা আপনার নিজস্ব কোন সেবা দেওয়ার থাকে সেগুলো কোটি কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
  • আবার আপনার নিজস্ব কোন জনপ্রিয় পেইজ বা গ্রুপ থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যদি চান সেটা বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

5 : Telegram App


বর্তমানে আরও একটি জনপ্রিয় আয় এর উৎস হল টেলিগ্রাম অ্যাপ। এই অ্যাপসে আছে বিভিন্ন ধরনের  সৃজনশীল উদ্যোগ মূলক কাজ করে ইনকাম করার সুযোগ। নিচে এই ইনকামের উৎসগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,,,,

  • টেলিগ্রাম অ্যাপসে যদি আপনার একটি অ্যাকাউন্ট থাকে এবং সে একাউন্টে অনেক বেশি ফলোয়ার্স থাকে তাহলে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো আপনার সাথে যোগাযোগ করে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করার জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করতে আগ্রহী থাকবে এবং আপনি তাদের পন্য বা সেবা প্রচার করে তাদের থেকে কমিশন নিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

  • এছাড়াও আপনার চ্যানেলে যদি সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বেশি থাকে তাহলে কোম্পানিগুলোর সাথে স্পন্সরশিপ বা বিজ্ঞাপনের কাজ করেও আয় করতে পারবেন।

  • বিভিন্ন কোম্পানির এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার পর সেই লিঙ্কে ঢুকে যদি কেউ পণ্য ক্রয় করে তাহলে সেই বিক্রির উপর কমিশন নিয়েও ইনকাম করতে পারবেন।

  • টেলিগ্রাম এপস এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পণ্য যেমন ই-কমার্স,ই-বুক,বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার বা কোর্স বিক্রি করেও ইনকাম করা যায়।

  • আপনি যদি প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে কাস্টম বট তৈরি করে সেটা বিক্রি করতে পারেন এবং আয় করতে পারেন আবার সৃজনশীল স্টিকার প্যাক তৈরি করেও তা বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।

6: Upwork Apps


আপওয়ার্ক মূলত একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট এখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এই সাইটের উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ,ডাটা এন্ট্রি করা,মার্কেটিং সহ ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।

এখানে আপনার একটি প্রোফাইল খুলতে হবে এবং সেখানে আপনার দক্ষতা,অভিজ্ঞতা এবং পূর্বের কাজের নমুনাগুলো ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে একজন ক্লায়েন্ট এগুলো দেখে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং আপনাকে কাজ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। আরো বেশি কাজ এবং সঠিক প্রজেক্ট এর কাজ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ক্লাইন্ট এর সাথে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক এবং যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে। 

আপওয়ার্ক ছাড়াও এরকম আরো কিছু সাইট যেমন Freelancer.com,People per hour.com ইত্যাদি সাইটেও নিয়মিত কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও প্রো ব্লগার লেখকদের জন্যও উচ্চমানের কাজের জায়গা হল Toptal যা এখন খুবই জনপ্রিয়।

এসব সাইটগুলোতে আপনার দক্ষতা এবং কাজের উপরেই নির্ভর করবে আপনার আয়ের পরিমাণ।

7:Linkedin App

লিঙ্ক ইন অ্যাপ হচ্ছে পেশাগত যোগাযোগের জন্য একটি কার্যকরী মাধ্যম। এই অ্যাপটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের অনুরূপ না হলেও এখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং অন্যান্য পেশাদার কাজ পেতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারেন।
এখানে ইনকাম করার জনপ্রিয় কিছু উপায় আছে যেমন,,,
 
  • এই অ্যাপসের বাইরের ছোট এবং বড় অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রফেশনাল ক্রিয়েটরদের খোঁজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার প্রোফাইল খুব দক্ষতার সাথে গুছিয়ে রাখেন এবং আপনার দক্ষতা এবং পূর্বের কাজ গুলোর ধরন তুলে ধরে রাখেন তাহলে তাদের থেকে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যাবে।
  • আপনি এই অ্যাপসে আপনার কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন আয় করতে পারেন।
  • আপনি যদি আপনার লিঙ্কড ইন আইডিতে একটি শক্তিশালী ফলোয়ার বেস তৈরি করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট আপনার লিংকড ইন একাউন্টে প্রমোট করার জন্য আগ্রহী হবে এবং এক্ষেত্রে আপনি আপনার উপার্জনের রাস্তা তৈরি করতে পারবেন।
  • আবার আপনি যদি লিঙ্কডইন এ পোস্টিং এর মাধ্যমে একটি নিজস্ব ইমেইল লিস্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে সেই লিস্ট ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্ন পণ্য বিক্রি বা কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য। এটি দীর্ঘমেয়াদী উপায় হলেও আপনি এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

8: Workup Job App:

ওয়ার্ক আপ জব এ্যাপ (Workup Job App) মূলত একটি মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম। খুব সহজ স্বল্প সময়ে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য এই অ্যাপটি আপনার জন্য দারুন একটি মাধ্যম হতে পারে।
এই অ্যাপের কাজগুলো খুবই ছোট এবং স্বল্প সময় সাপেক্ষ, যেমন-
  • ইউটিউব ভিডিও দেখে এবং ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে আয় করতে পারেন। এইরকম প্রতিটি কাজের জন্য মিনিমাম ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
  • এড এ ক্লিক করে এড দেখে বা আর্টিকেল পড়ে ইনকাম করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ফেইসবুক পেজ ফলো করে এবং শেয়ার করে ইনকাম করতে পারবেন। 
  • টেলিগ্রাম গ্রুপে নিজে এবং অন্যকে যোগ দেওয়ার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন।

9: Toffee App

টফি অ্যাপ মূলত ভিডিও শেয়ারিং একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের তৈরি  ভিডিও গুলো প্রতিনিয়ত আপলোড করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পায়। এর কাজ অনেকটা ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের মতোই হলেও অর্থ উপার্জন করার ক্ষেত্রে এর কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। 
এই প্লাটফর্মে ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটা টফি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং তারপর সেখানে আপনার বানানো বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট গুলো আপলোড করতে হবে। 
আপলোডকৃত কন্টেন্ট গুলো পরবর্তীতে বাংলালিংক বিভিন্নভাবে যাচাই বাছাই করে থাকে।যদি আপনার কন্টেন্ট সবচেয়ে বেশি ভিউ পায় তাহলে আপনার অর্থ উপার্জন করার রাস্তা ক্লিয়ার। তবে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে। কেননা যত বেশি ভিডিও আপনি শেয়ার করবেন তত বেশি ভিউ হবে এবং ভিউ এর উপর নির্ভর করবে আপনার আয়ের পরিমাণ।
এইভাবে কাজ করে আপনি আপনার উপার্জিত অর্থ রকেট, নগদ,বিকাশ অথবা সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
যারা ইউটিউব কিংবা ফেসবুক কে সময় সাপেক্ষ মনে করছেন বা সেখানে কন্টেন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন না তাদের জন্য টফি অ্যাপ হতে পারে একটি বিকল্প এবং সহজ মাধ্যম।

10: Rokomari App

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনি জেনে খুব খুশি হবেন যে, বর্তমানে রকমারি অ্যাপটি তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে সহজে আয় করার জন্য  দারুন একটি সুযোগ তৈরি রেখেছে। এখানে আপনি যদি একজন দক্ষ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন তাহলে একজন এফিলিয়েটর হিসেবে এই সাইটে বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেমন বই,কসমেটিক্স, দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্য ইত্যাদি মার্কেটিং করে কমিশন লাভ করতে পারবেন।

এই অ্যাপ এ কাজ করতে হলে এক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে একটি একাউন্ট খুলতে হবে তারপর আপনার একাউন্ট থেকে আপনার পছন্দমত বিভিন্ন ধরনের পণ্যের লিঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি চ্যানেল শেয়ার করে রাখতে হবে। আপনার শেয়ারকৃত লিংক থেকে কোন গ্রাহক যদি কোন পণ্য কিনে থাকে তাহলে সেই পন্যের উপর নির্দিষ্ট একটা কমিশন নিতে পারবেন আর  আপনার এই অর্জিত কমিশন টি আপনার একউন্টে সরাসরি জমা হতে থাকবে।

এভাবে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আপনার কাজের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা বজায় রাখতে হবে এবং কার্যকর মার্কেটিং কৌশল জেনে ধৈর্য্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য:

আশা করছি আপনি এই পোস্টটা পড়ে একটা সুন্দর ধারণা পেয়ে গেছেন কিভাবে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন নির্ভর হাজার হাজার অ্যাপ বিদ্যমান থাকলেও উপরের আলোচিত এপ্স গুলো থেকে আপনি সহজেই আপনার হাতে থাকা ফোন দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। পরবর্তীতে আরো বেশি ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে সময় নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
ইনকাম রিলেটেড আরও প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আপনার অনলাইন ইনকামের যাত্রার শুভ কামনা করে আজকের মতো শেষ করছি।
ভালো থাকবেন,পাশের থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url